শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাখিমাড়া পি ভি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদুরীকে নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দে চলছিল মা খুশির ছোট সংসার। গত ঈদের আগের রাতে তার বসত ঘরটি অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ পেয়ে এখন মা-মেয়ের মুখে হাসির ঝিলিক। সেই সাথে ঘর বরাদ্দ পেয়ে সামান্য আয়ের এই নারীর মিলেছে মাথা গোজার ঠাঁই, এবং সন্তানের ভবিষ্যত ভাবনা নিয়ে শংকা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছুদিন আগেও ছিলোনা খুশি আক্তারের মাথা গোজার ঠাঁই। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় তার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল বসতঘরটি। স্বামীর বাড়িতে স্থান না পাওয়ায় ২০০৭ সালে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় খুশী। সেখানেই বসবাস শুরু করে। আয়ের জন্য বেঁচে নেয় হাঁস পালন। ইতোমধ্যে ঘর নির্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন জন প্রসাশন মন্ত্রলয়ের অতিরিক্ত সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার, জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ ঘরটিতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা।
খুশি আক্তার লায়লা বলেন, ঘরটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল পৃথিবীতে আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ নেই। দোয়া করি আল্লাহতায়লা যেন প্রধান মন্ত্রীকে সুস্থ রাখেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো.নাসির উদ্দিন মাহামুদ বলেন, তার বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমিপাকা ঘর বরাদ্দ দিতে সক্ষম হয়ে আমিও খুশি ।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ উপজেলায় মোট ৪৫০ টি নির্মান করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।